নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

Description

নিউমোনিয়া লক্ষণঃ দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস - নবজাতকের ক্ষেত্রে প্রতি মিনিটে ৬০ বার, এক বছরের মধ্যের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রতি মিনিটে ৫০ বার এবং এক থেকে তিন বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রতি মিনিটে ৪০ বার শ্বাস-প্রশ্বাস ঘটলে বুঝতে হবে তা নিউমোনিয়ার লক্ষণ।

০ বুকের খাঁচার নিচে দেবে যাবে
০ শ্বাসের সাথে নাকের ডগা ফুলে যাওয়া
০ গায়ের তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি হবে, এমনকি ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইটে উপনীত হতে পারে।
০ বাচ্চার চেহারাতে একটি ক্লান্তি ও অসুস্থতার ভাব প্রকট থাকে।
০ কাশি: রাত্রিকালীন ও ভোরের দিকে কাশির প্রকোপ বেশি হতে পারে।
০ কফ: ছোট্ট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কফ নাও বের হতে পারে।
০ বুকে ঘড় ঘড় আওয়াজ পাওয়া যেতে পারে।
০ এসব শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত স্ট্রেপটো কক্কাস, হিমোফিলাস ইনফুয়েঞ্জি ও স্টাফাইলো কক্কাস রোগের জীবাণু দ্বারা আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি। কিছু ভাইরাসও জড়িত থাকতে পারে।

এক্ষেত্রে যা করনীয়ঃ

০ বাচ্চার যদি খুব শ্বাসকষ্ট থাকে তাহলে হাসপাতালে নেওয়াই ভাল। তিন মাসের নিচে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কিংবা শিশুর শরীর যদি বারে বারে নীল হয়ে আসে তাহলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
০ পারিবারিক শিশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
০ তবে যদি শ্বাসকষ্ট অতটা না থাকে তাহলে বাসায় চিকিৎসা করা যেতে পারে।

বাসায় চিকিৎসার ক্ষেত্রেঃ

০ বাচ্চার জ্বর কমাতে সিরাপ প্যারাসিটামল ব্যবহার করুন। ওজন অনুযায়ী ১৫ মি.গ্রা./কেজি/ প্রতিবার সেবনে। দিনে ৪ বার উর্ধ্বে ৬ বার পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন। প্যারাসিটামল দেওয়ার আধা ঘণ্টা পর কুসুম গরম পানি দিয়ে আধা ঘণ্টা ধরে।গা,হাত,পা,মাথা মুছিয়ে দিন।
০ প্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে, তবে এ বয়সের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সাধারণত এ্যামোক্সিসিলিন বা তৃতীয় জেনারেশন সেফিক্সিম ব্যবহার করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, এ্যান্টিবায়োটিক অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শেই ব্যবহার করতে হবে। নাক-গলা বাল্ব সাকার দিয়ে পরিষ্কার করলে উপকার পাওয়া যাবে।
০ নাকে নরমাল স্যালাইন ড্রপ ব্যবহার করুন, ১ ফোঁটা করে ২ নাকে ৪ বার বা ৬ বার দিয়ে পরিষ্কার রাখুন নাসিকা পথ।
০ শ্বাসটান বা বুকের আওয়াজের জন্য আমরা সিরাপ স্যালবিউটামল বা নেবুলাইজেশন মেশিনে বাষ্পায়িত স্যালবিউটামল ব্যবহার করতে পারি।

Author Info

munnach1971

Member since 10 months ago
View Profile

Paid Advertising

Call for ad: 01816656455